সকালের হেলথি নাস্তার জন্য ওটস ব্রেড ওমলেট


ওটস সকালের নাস্তা অথবা বিকালের জন্য চা এর সাথে অথবা যারা ওজন কমাতে চান তাদের সবার জন্য উপযুগি খাবার। ওটস দিয়ে অনেক ধরণের খাবার বানানো যায় আমি এর আগে এই ব্লগে আরো রেসিপি শেয়ার করছি। আজকে বলবো কিভাবে পাউরুটি দিয়ে ওটস ওমলেট বানানো যায়। এইটা খেতে যেমন মজার ,তেমন হেলথি ,সবচে বড় বিষয় হলো আপনার পেটও ভরবে। খুদা লাগবে না দীর্ঘক্ষন।

বানাতে লাগবে

  1. পাউরুটি ২ পিচ 
  2. ওটস ১/৪ কাপ 
  3. ডিম একটা 
  4. হলুদ ,জিরা গুঁড়া 
  5. লবন 
  6. ভাজার জন্য সয়াবিন তেল 
  7. কাঁচা মরিচ ,পেঁয়াজ কুচি 
  8. ধনে পাতা কুচি 



কিভাবে বানাবেন ?

১. কাঁচা মরিচ ,পেঁয়াজ ,ধনে পাতা কুচি , স্বাদ মতো লবন দিয়ে ভালোভাবে মেখে নেন , তারপর এতে দেন একচিমটি হলুদ গুঁড়া আর জিরে গুঁড়া। হাত দিয়ে ভালোকরে মেখে ডিম আর ওটস দিয়ে মেশাতে হবে।

২. প্যানে সামান্য তেল দিয়ে, তেল হালকা গরম হলে  অর্ধেক মিশ্রন ঢেলে দিতে হবে।  একটা চামচ দিয়ে সরিয়ে দুইটা রুটি দিয়ে মিশ্রনের ওপরে দিয়ে , বাকি গুলো ওপরে ঢেলে দেন।


৩. একপৃষ্ঠা হলে ,উল্টিয়ে ওপর পৃষ্ঠায় একইভাবে ভাজতে হবে 



ওটসের উপকারিতা

ব্রেকফাস্টে ওটমিল বা কর্নফ্লেক্স, ভীষণ উপকারী আর টি নাট এবং বিভিন্ন রকম মৌসুমি ফল মিশিয়ে খেলে যে সুস্বাদু হবে, তা বলাইবাহুল্য। ওটসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, আয়রন, প্রোটিন, ভিটামিন বিসহ একগুচ্ছ পুষ্টি উপাদান। বিশেষত ওটসে রয়েছে ভিটামিন বি যা শরীরে কার্বোহাইড্রেট হজমে সাহায্য করে। 


তাছাড়া ওটসে রয়েছে প্রচুর ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, জিঙ্ক, কপার, ম্যাঙ্গানিজ, থিয়ামিন, ভিটামিন ইত্যাদি যা অন্যান্য শস্যজাতীয় খাবারের তুলনায় বেশি। কম পরিমাণে ফ্যাট-ওটসে প্রাকৃতিকভাবে ফ্যাটের পরিমাণ কম থাকে। তাছাড়াও রয়েছে উপকারি ফ্যাটি অ্যাসিড, মানে মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট। * কোলেস্টেরল কমানোর ক্ষেত্রে সাহায্যকারী : ওটসে রয়েছে বেটা গ্লুকোন নামক বিশেষ ধরনের ফাইবার যা শরীরে কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। 

প্রতিদিন তিন গ্রাম ওটস খেলে তা প্রায় আট থেকে দশ শতাংশ পর্যন্ত কোলেস্টেরল কমানোর সহায়ক। * হার্ট ভালো রাখে : ওটসে রয়েছে বিশেষ এক ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান যা শরীরের ভালো কোলেস্টেরল মানে এলডিএলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। আর এর ফলে হৃদরোগের ঝুঁকিও কমে। মোটের উপর ভালো থাকে হার্ট। * রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে : অতিরিক্ত মানসিক চাপ বা দুশ্চিন্তার কারণে হাইপারটেনশনের ঝুঁকি কমায় ওটস। * ইমিউনিটি বাড়ায় : ওটসের বেটা-গ্লুকোন শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বা ইমিউনিটি সিস্টেমকে বৃদ্ধি করে। শরীরে ব্যাক্টিরিয়া জনিত ইনফেকশন প্রতিরোধেও সাহায্য করে ওটস।

 * ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী : ডায়াবেটিস রোগীরাও তাঁদের খাদ্য তালিকায় শামিল করতে পারেন ওটস। লো ক্যালোরি ও সুগার ফ্রি হওয়ায় ডায়াবেটিসের রোগীরা অনায়াসেই এটি ব্রেকফাস্টে রাখতে পারেন। তবে খেতে হবে দই বা স্কিমড মিল্কে। * হজমে সাহায্যকারী : হজম ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে ওটস। যাঁরা কোষ্ঠকাঠিন্য বা হজমের সমস্যায় ভুগছেন, তাঁদের জন্য ওটস দারুণ উপকারী। কেননা এতে থাকা ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। তাছাড়া লিভারের জন্যও ওটস উপকারী। * ওজন কমাতে সহায়ক : ওটস খাওয়ার পর দীর্ঘসময় পেট ভরা ভাব অনুভূত হয়। ফলে চট করে খিদে পায় না। তাই ব্রেকফাস্টে ফল সহযোগে একবাটি ওটমিল খেয়ে নিলে অনেকক্ষণ খিদে পায় না। 




Comments