রান্না ঘরের টিপস


. রান্নার সময় সবজির গন্ধ দূর করতে সামান্য পাতিলেবুর রস বা চিনি মিশিয়ে দিন।
২. বেগুন ভাজা বা রান্নার আগে কিছুক্ষণ লবণ মাখিয়ে রেখে ধুয়ে নিন। তেল অনেক কম লাগবে।

৩.  ডিম সেদ্ধ করতে পানিতে সামান্য লবণ দিন। ডিম খেতে সুস্বাদু হবে। গরম অবস্থায় ডিমের খোসা ছাড়াবেন না, ঠান্ডা করে খোসা ছাড়ান। এতে খোসায় লেগে ডিম নষ্ট হবে না।

৪. অনেক সময় পোলাও রান্না করলে দেখা যায় বেশি নরম হয়ে গেছে। পরিষ্কার শুকনো তোয়ালে বিছিয়ে তার ওপরে পোলাও ঢেলে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন। একটু পরে ঝরঝরে হয়ে যাবে।

৫. রান্না করা ডিম পড়ে আছে, খাওয়া হয়নি। ডিমটি ধুয়ে গরম পানিতে ২ মিনিট ডুবিয়ে রাখুন। তুলে নিয়ে পেঁয়াজ, কাঁচামরিচ, ধনেপাতা, লবণ, সরিষার তেল কচলে বানিয়ে নিন ডিমভর্তা।

৬. স্যান্ডউইচ বানিয়ে রেখে দিলে সেগুলো শুকিয়ে কাঠের মতো শক্ত হয়ে যায়। স্যান্ডউইচ বানানোর পর তুলি দিয়ে সামান্য দুধ পাউরুটির ওপর বুলিয়ে দিন। আট ঘণ্টা ভালো থাকবে।

৭. পোড়া ভাব দূর করতে টমেটো স জাদুর মতো কাজ করে। এমনকি পোড়া ভাজিকে ঠিক করতেও। যেকোনো ঝাল খাবারে স্বাদ অনুযায়ী টমেটো সস যোগ করে দিন। ঝাল কমে যাবে অনেকাংশে।

৮. বাসি ভাত দিয়ে ভাজা ভাত বা ফ্রায়েড রাইস করার সময় সরিষা বা কালোজিরা ফোঁড়ন দিয়ে আনা যায় বাড়তি স্বাদ। আবার কাঁচা আম বা তেঁতুলের সময়ে আগের রাতের ভাত দিয়ে খিচুড়িও রান্না করা যায়।

৯. ভাত একটু নরম হয়ে গেলে অথবা বাসি ভাতের সঙ্গে পেঁয়াজ, কাঁচামরিচ, সামান্য মুরগির মাংস দিয়ে মজাদার রাইস বল বা রাইস কাটলেট বানানো সম্ভব।

১০. যেকোনো সবজিতে পোকা থাকলে তা দেরিতে সেদ্ধ হয়। বিশেষ করে বেগুন। তাই রান্নার আগে সবজি দেখে নিন ভালোভাবে। শাক বা সবজি যতটুকু সম্ভব কম আঁচে রান্না করুন, সেদ্ধ ভালো হবে। পুষ্টিমানও বজায় থাকবে।

১১. রান্না করতে এক কেজি খাবারে সাধারণত এক চা-চামচ লবণ প্রয়োজন হয়। তারপরও কোনো খাবারে লবণ বেশি হয়ে গেলে লেবুর রস, তেঁতুল বা টমেটো দিয়ে দিলে লবণাক্ত ভাব অনেকটা কমে যায়। রান্নায় হলুদ বেশি পড়ে গেলে ধনেপাতা, আলু বা ঘি দিলে গন্ধ দূর হয়।


১২. কাঁচা সবজি ফ্রিজে বেশি দিন রাখা ঠিক না। সবজি কেটে ফুটন্ত পানিতে দিয়ে চুলায় চাপিয়ে দিন। এক বলক এলে নামিয়ে সঙ্গে সঙ্গে বরফ ঠান্ডা পানিতে কিছুক্ষণ ডুবিয়ে রাখুন। তারপর বায়ুরোধী প্যাকেটে বা বাক্সে করে ডিপে রেখে দিন।


Comments

Post a Comment