মশলার যত গুন


ধনিয়া: রান্নায় ব্যবহৃত অন্যান্য উদ্ভিদ ও মসলা ঠিকমতো হজমের জন্য ধনিয়ার ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। এটি মানুষের পরিপাক, শ্বাস-প্রশ্বাস ও প্রস্রাবের জটিলতা এবং ত্বকের কয়েকটি রোগ নিরাময়ে সাহায্য করে।



আদা: রান্নার স্বাদ ও ঝাঁজ বাড়াতে আদার বিকল্প নেই। এটিও পরিপাকে সহায়ক এবং ঔষধি গুণে সমৃদ্ধ। শ্বাসকষ্টের রোগীদের জন্য আদা বিশেষ উপকারী। সর্দি-কাশির উপশমে এটি চায়ের সঙ্গেও মেশানো হয়।




জিরা: তরকারি ও ডালের স্বাদ বাড়াতে বহুল ব্যবহৃত এই মসলা সুঘ্রাণের জন্যও খ্যাত। ঔষধি গুণের পাশাপাশি জীবাণুর আক্রমণে খাবারের পচন রোধেও এটি সক্রিয় ভূমিকা রাখে। যকৃৎ ও অগ্ন্যাশয়ের কার্যকারিতা বৃদ্ধি, শরীরে জমা বিষাক্ত উপাদান অপসারণ এবং খাবারের পুষ্টিমান ঠিক রাখাতে জিরার ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।


মেথি: পরিপাকতন্ত্র, শ্বাসযন্ত্র, স্নায়ুতন্ত্রের নানা রোগ ও নারীর মাসিক জটিলতা দূর করতে মেথি একটি কার্যকর ঔষধি উপাদান। এ ছাড়া এটি ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা দূর করে এবং বাড়তি ওজন কমাতে সাহায্য করে। রাতে মেথি ভিজিয়ে রাখা পানি পান করলে শরীরে শর্করা বা চিনির মাত্রা কমে। তেতো-মিষ্টি মিশ্র স্বাদের এই মসলা সাধারণত সবজি ও ডাল রান্নায় ব্যবহৃত হয়।


হলুদ: তেতো, কষাটে বা রুক্ষ ও কটূ স্বাদের এই মসলা শত শত বছর ধরে ভেষজ চিকিৎসা-উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এটি প্রদাহ ও পচন রোধে সহায়ক। উপমহাদেশে প্রায় সব রান্নায় হলুদ এক অপরিহার্য মসলা। বিপাক এবং শরীরের বিভিন্ন সজীব উপাদানের রাসায়নিক পরিবর্তনে এটি উদ্দীপক হিসেবে কাজ করে। রান্নায় ব্যবহৃত বিভিন্ন অনাকাঙ্ক্ষিত চর্বিজাতীয় উপাদানের তীব্রতা কমাতে হলুদের গুরুত্ব রয়েছে।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া।

Comments